
ভারতের সরকার ৫০০ টাকার নোট বাতিল করলো। মেমোটা সফররত ইংল্যান্ডের কাছে পৌঁছায়নি বুঝি! ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর গড়েছে তারা ৫০০ ছাড়িয়ে। জো রুটের পর মঈন আলি ও বেন স্টোকসের সেঞ্চুরিতে রাজকোট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড করেছে ৫৩৭ রান। জবাবে, কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৩ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বিরাট কোহলির দল। পিছিয়ে ৪৭৪ রানে। ফলো অন এড়াতেই স্বাগতিকদের এখনো ২৭৫ রান করতে হবে।
বাংলাদেশে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হারলো ইংল্যান্ড। স্পিনারদের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না। দুই টেস্টের চার ইনিংসে একবারও ৩০০ রান করতে পারেনি তারা। সেই দলই ভারতে গিয়ে পুরো বদলে গেছে। বুঝি বাংলাদেশের কন্ডিশনে এতদিন খেলার অভিজ্ঞতাই কাজে দিচ্ছে।
৪ উইকেটে ৩১১ রানে বৃহস্পতিবার শুরু ইংলিশদের। মঈন ৯৯ থেকে দ্রুত ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরিটা তুলে নিয়েছেন। তিনি থেমেছেন ১১৭ রান করে। তার মতোই বাংলাদেশে ফর্ম দেখানো স্টোকস শুরু থেকেই মেরে খেললেন। প্রথম সেশনে ৯৫ বলে ৬৫ রান তার। ইংল্যান্ড করেছে ১৩৯ রান। হারিয়েছে ২ উইকেট।
ইংলিশরা জানে, ভারতের উইকেটে যা করার প্রথম ইনিংসেই করতে হবে। লাঞ্চের পরও ছোটে তাদের রানের চাকা। এদিন আরো গোটা দুয়েক ক্যাচ ছাড়ে ভারত। মিস ফিল্ডিংয়ে এক্সট্রা কিছু রান দেয়। দুটি জীবন কাজে লাগিয়ে স্টোকস তুলে নেন তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। অথচ ভারতের বিপক্ষে শেষ তিন ইনিংসেই শূণ্য রানে আউট হয়েছিলেন।
কোহলির নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো এতোটা চাপে পড়ে ভারত। তাতে দিশেহারা হয় সবদিক দিয়ে। স্টোকস চা বিরতির ঠিক আগে ব্যক্তিগত ১২৮ রান করে ফেরেন। তার আগে ফেরা জনি বেয়ারস্টো দিয়ে গেছেন ৪৬ রান। দশ নাম্বারে জাফর আনসারির ব্যাট থেকে এল ৩২ রান। স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিয়ে শেষ সেশনের আরো আধঘণ্টা ভারতের বোলিংকে হতাশ করে যান আনসারি।
দিনের শেষ ২৩ ওভারে ইংলিশরা খুব চেষ্টা করলো উইকেট তুলে নিতে। হাতের প্রায় সব অস্ত্রই ব্যবহার করলো। ৫ বোলার বল করলেন। হাত ঘুরালেন ৩ স্পিনারই। কিন্তু গৌতম গাম্ভির (২৮) ও মুরালি বিজয় (২৫) অপরাজিত থেকে পাল্টা লড়াইয়ের ইঙ্গিত রেখে এসেছেন।